আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতি সময়তেই সমুদ্রের তলায় নানা ধরণের প্রাণীরা নিজেদের বংশবৃদ্ধি করছে। সেদিক থেকে দেখতে হলে জলের তলার এই রহস্য নিয়ে সকলেই বেশ চিন্তিত। তবে এবার সমুদ্রের অতলে নতুন প্রাণীর সন্ধান মিলেছে। আকারে ছোটো হলেও এটি অতি ভয়ঙ্কর।
যখনই বিজ্ঞানীরা মনে করেন সমুদ্রের তলার সমস্ত প্রাণী সম্পর্কে তাদের জানা হয়ে গিয়েছে ঠিক তখনই নতুন রহস্য ফের চিন্তা বাড়িয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার জলের তলায় নতুন ধরণের প্রাণীর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এটি মাটি থেকে ৮ কিলোমিটার নিচে পাওয়া গিয়েছে। আকারে ছোটো হলেও এর ক্ষমতা বিরাট প্রাণীদের ঘায়েল করতে পারে।
এই আবিষ্কারটি আমেরিকা এবং চিলির বিজ্ঞানীরা একসঙ্গে করেছে। নতুন ধরণের এই প্রাণীটিকে দেখতে অনেকটা জেলিফিসের মতো। তবে এটি জেলিফিস নয়। এর বিষের মাত্রা জেলিফিসের তুলনায় অনেকটা বেশি। এটি জলের একেবারে নিচে থাকতে পারে পাশাপাশি সমুদ্রের উপরেও ভেসে থাকতে পারে।
জানা গিয়েছে এই উন্নত প্রাণীটি অতি দ্রুত নিজের শিকারকে অসাড় করে তাকে নষ্ট করে দিতে পারে। তারপর তার দেহের অংশগুলি নিজেই সাবাড় করে ফেলে। এদেরকে যারা আক্রমণ করে তাদেরকেই শেষ করে দেয় এরা। ফলে এদের বিষের পরিমান এখান থেকেই জানা গিয়েছে।
জলের একেবারে নিচে যেখানে অন্য প্রাণীরা বেশিদিন থাকতে পারে না সেখানে এই প্রাণীটি অতি সহজেই থাকতে পারে। ফলে সেখান থেকে এদের শক্তির বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতেও এরা পটু। ফলে এদের ধ্বংস করা অসম্ভব।
অন্ধকারের মধ্যে বছরের পর বছর থাকতে পারে এই প্রাণীটি। ফলে যদি সেখান থেকে এদেরকে কেউ বের করে নিয়ে আসতে চেষ্টা করে তাহলে তাকে এরা দল বেঁধে আক্রমণ করে। এমনকি সমুদ্রের নিচে থাকা বহু ঘাতক প্রাণীরাও এদেরকে ভয় পেয়ে চলে।
বহুদিন ধরেই এরা জলের নিচে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে চলেছে। তবে এতদিন পর্যন্ত এদের সন্ধান মেলেনি। তবে এবার এরা সামনে চলে এসেছে। অন্ধকার জগৎ থেকে এবার তারা আলোতে এসে শিকারের কাজ করছে। এই বিষয়টি বাড়তি চিন্তা যোগ করেছে বিজ্ঞানীদের মনে।
